Brest cancer এর ভয়াবহতা ও কিভাবে বুঝবেন আপনি বেস্ট ক্যান্সারে আক্রান্ত এবং লক্ষণ গুলি জেনে নিন
স্তন ক্যান্সার (Breast Cancer) কী এবং কেন হয়
স্তন ক্যান্সার হলো এক প্রকার ক্যান্সার যা স্তনের কোষগুলোতে বৃদ্ধি পেতে থাকে। এটি তখনই ঘটে যখন স্তনের কোষগুলো নিয়ন্ত্রণহীনভাবে বেড়ে ওঠে এবং শরীরের অন্যান্য অংশে ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা থাকে।
কারণসমূহ:
- জেনেটিক পরিবর্তন: বংশগত জিনে পরিবর্তন হলে স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ে। BRCA1 এবং BRCA2 নামক দুটি জিনের পরিবর্তন স্তন ক্যান্সারের সঙ্গে যুক্ত।
- হরমোনের প্রভাব: উচ্চ মাত্রার ইস্ট্রোজেন ও প্রজেস্টেরন হরমোন স্তন কোষের বৃদ্ধিকে ত্বরান্বিত করতে পারে।
- বয়স: বয়স বাড়ার সঙ্গে স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ে, বিশেষ করে ৫০ বছরের পর।
- পূর্বে ক্যান্সার থাকা: যাদের আগে স্তন ক্যান্সার হয়েছে, তাদের পুনরায় এটি হওয়ার ঝুঁকি বেশি।
- পারিবারিক ইতিহাস: পরিবারের নিকট আত্মীয়দের স্তন ক্যান্সার থাকলে, এটি হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়।
লক্ষণসমূহ:
- স্তনে বা বগলে মাংসল বা শক্ত গুটির উপস্থিতি।
- স্তনের আকার বা আকৃতিতে পরিবর্তন।
- স্তনের ত্বকের রঙের পরিবর্তন বা দাগ হওয়া।
- স্তনের চামড়া মোচড়ানো বা উঁচু হয়ে যাওয়া।
- স্তনের নিপল বা এর চারপাশের ত্বক লাল বা ফুলে যাওয়া।
- নিপল থেকে অস্বাভাবিক তরল নিঃসরণ।
প্রতিকার ও চিকিৎসা:
- সার্জারি: টিউমারটি কেটে ফেলে দেওয়া (ল্যাম্পেক্টমি) বা পুরো স্তন কেটে ফেলে দেওয়া (মাস্টেক্টমি)।
- কেমোথেরাপি: ক্যান্সার কোষ ধ্বংস করতে রাসায়নিক ওষুধ ব্যবহার করা হয়।
- রেডিয়েশন থেরাপি: স্তনে রেডিয়েশন দিয়ে ক্যান্সার কোষ ধ্বংস করা হয়।
- হরমোন থেরাপি: কিছু ধরনের স্তন ক্যান্সার হরমোনের উপর নির্ভরশীল। তাই হরমোন নিয়ন্ত্রণে রাখতে থেরাপি দেওয়া হয়।
- টার্গেটেড থেরাপি: কিছু ওষুধ সরাসরি ক্যান্সার কোষকে লক্ষ্য করে ধ্বংস করে।
বাঁচার উপায় ও প্রতিরোধ:
- স্বাস্থ্যকর জীবনধারা: নিয়মিত ব্যায়াম, সুষম খাদ্য গ্রহণ, এবং মদ্যপান না করা স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।
- নিয়মিত চেক-আপ: ৪০ বছর বয়সের পর থেকে নিয়মিত ম্যামোগ্রাম করা।
- ওজন নিয়ন্ত্রণ: স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখা।
- হরমোন থেরাপি সীমিত করা: পোস্টমেনোপজাল হরমোন থেরাপি ব্যবহার সীমিত করতে হবে।
- প্রাকৃতিক উপায়ে সন্তান ধারণ এবং স্তন্যপান: সন্তানকে স্তন্যপান করানো স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়।
উপসংহার:
স্তন ক্যান্সার একটি গুরুতর সমস্যা হলেও, সময়মতো নির্ণয় ও সঠিক চিকিৎসায় অনেক ক্ষেত্রেই নিরাময় সম্ভব। নিয়মিত পরীক্ষার মাধ্যমে প্রাথমিক পর্যায়ে ক্যান্সার শনাক্ত করা গেলে চিকিৎসা কার্যকর হয় এবং জীবন রক্ষা পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।


কোন মন্তব্য নেই